ইংরেজী "Fart" শব্দের অর্থ হচ্ছে পাদ/পন্দ্রবায়ু! পাকস্থলীতে লুকিয়ে থাকা দুষ্ট বায়ু, যে বিশেষ প্রক্রিয়ায় পায়ুপথ দিয়ে নির্গত হয়, তাকেই পাদ/পন্দ্রবায়ু বলে।
যতই আমরা নাক সিটকাই, পাদ সারাদিনে রাতে কম বেশী সবাই ই দেই! কেউ হয়ত স্বশব্দে, কেউ আস্তে, কেউ প্রকাশ্যে, কেউ গোপনে! তবে যে যাই বলুক, পাদ কিন্তু শরীরের অযাচিত গ্যাস বের হবার, সবচেয়ে বড়ো মহৌষধ!! মজার ব্যপার হচ্ছে, আপনি যদি প্রতিদিন, জোরেসোরে অন্তত ৫ টি পাদ দিতে পারেন, তবে আপনার আর ৮/১০ টাকা দিয়ে, গ্যসের ট্যাব্লেট কিনে খেতে হবে না 😎!!!
পাদ হচ্ছে মানবজাতির দৈনন্দিন শারীরিক সুস্থতার জন্য অতিব জরুরী একটি পন্থা। বিশেষজ্ঞদের মতে পাদ সাধারণত দুই প্রকার। যথাঃ
১. ঠাস পাদ।
২. ঠুস পাদ।
#ঠাস পাদঃ যে পাদ মানুষের আবেগ
নিয়ে খেলা করে, কথাবার্তা ছাড়াই যেখানে সেখানে হটাত করেই, ইজ্জতের ফালুদা বানায়ে ফেলে, সেটাই হচ্ছে ঠাস পাদ। এসব পাদ গুলো সাধারণত হরেক রকমের সুরের সাথে, নিজেদের আগমন ঘটায়। কিঞ্চিত শব্দ দূষণের অভিযোগ পাওয়া গেলেও, এই পাদ বেশিরভাগ
সময়ই মানুষকে বিনোদিত করে!!! এতে অপেক্ষাকৃত দূর্গন্ধ কম থাকে!!!
#ঠুস পাদঃ যে পাদ নিজেকে মুক্ত
করার জন্য, পায়ুপথের কাছাকাছি এসে আকুপাকু করে, তাকে ঠুস পাদ বলে। এসব পাদের কোনো অস্তিত্ব নেই। ঘ্রাণ দিয়েই এদের অস্তিত্ব অনুভব করা যায়। এধরনের পাদগুলো মারাত্নকভাবে পরিবেশ দুষণ করে থাকে। এর ভয়াবহতা এতটাই প্রকট যে, কয়েক মিনিট আশেপাশের সবাই চোখে পন্দ্রবায়ুর সুগন্ধে (!) শর্ষেফুল দেখে!
→তথাপি মানবজীবনে পাদের গুরুত্ব
অপরিসীম, সীমাহীন। পাদ দিতে না পারলে, মানুষের পেটে মিথেন গ্যাস জমে যেতো। আর তখন মানুষ শরীরে অতিরিক্ত গ্যসের কারনে, মধ্যাকর্ষণ শক্তিতে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মহাশুন্যে ই উড়ে যেতো!
→তাই আসুন, আমরা পাদ কে জাতীয় বায়ু হিসেবে ভুষিত করি। পুরনো দিনের সব খারাপ স্মৃতিগুলোকে, পাদের সাথেই বের করে দেই। আজ এখন এই মুহুর্ত থেকেই আমরা সবাই, সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে পাদা-পাদি শুরু করি...।
আর ফ্রেন্ডলিস্টের সেইসব লিজেন্ডদের মেনশন করি, যারা পাদ দেবার জন্যে আমাদের বন্ধুমহলে বিখ্যাত এবং পুরস্কারের দাবিদার! চোখ কান বন্ধ করে মেনশন করুন! আমরাও তাদের পাদাপাদির রহস্য জানতে চাই!!!
Comments
Post a Comment